৫৩টি প্রকল্পের অনুকূলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) নয় হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে আরও আধুনিক হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য পরিবহনসেবা প্রদানের উদ্দেশে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী, সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও যাত্রীর সেবামূলক গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ সেক্টরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহুমাত্রিক উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনায়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে।
রেলওয়ের লাইন ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সেকশনসমূহ ডাবল লাইনে উন্নীত হলে এসব সেকশনে অধিকসংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এতে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও সম্প্রসারিত হয়ে রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
দেশের সার্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোর ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুল রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।