পবিত্র মাহে রমজান হচ্ছে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটানোর শ্রেষ্ঠ সময়। আত্মা হল মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, আপনজন। মানুষ যে কোনো কাজ করার আগে আত্মার সঙ্গে বোঝাপড়া করে। আত্মা যদি কোমল ও শান্তিময় হয় তখন মানুষের পুরো কাজই হয় কল্যাণময়, শান্তিময় ও সুশৃঙ্খল।
পবিত্র কোরআনে আত্মা পরিশুদ্ধ করার জন্য মহান আল্লাহতায়ালা বান্দাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করল সেই সফল হল আর ব্যর্থ সেই বান্দা যে নিজের আত্মাকে কলুষিত করল। [সূরা শামস : আয়াত ০৯-১০]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের হিজরত (দেশত্যাগ) হল রোজা। (ইবনে মারদুইয়া)। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র এরশাদ করেছেন, হিজরত যেমন কষ্টসাধ্য, রোজাও তেমন কষ্টকর সাধনা। ইবনু উয়াইনা (রা.) বলেন, রোজাদার পানাহার-কাম-সম্ভোগ ত্যাগ করে বলে তাকে মুহাজির বলা হয়েছে। (রুহুস সিয়াম)। হিজরতের মতো সিয়াম সাধনা করে বান্দাকে সবকিছু পরিত্যাগ করার মানসিকতা অর্জন করতে হয়। এতেই বান্দা কলুষমুক্ত হয়। এতে তার শুদ্ধি অর্জন হয়।
আল্লাহকে হাজির জেনে আমল করতে হয়। আমলের ক্ষেত্রে শুদ্ধতা থাকলে আত্মশুদ্ধি অর্জন সহজ হয়। অন্যথায় বান্দা পরিশুদ্ধি অর্জন করতে পারে না। এটা নবীজিও বলেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, অনেক রোজাদার এমন আছে, যাদের রোজা শুধু ক্ষুধার্ত থাকা ছাড়া অন্য কিছু অর্জন হয় না। বহু নামাজ আদায়কারী এমন আছে, যাদের জাগ্রত থাকা ছাড়া অন্য কিছু অর্জন হয় না। এরা হল তারা যাদের দেহ রোজা পালন করেছে, কিন্তু অন্তর রোজা পালন করেনি। সিয়াম সাধনা করে নিজেকে রাঙিয়ে তুলে পরিশুদ্ধ বান্দা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।