রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কানাডার দুই মন্ত্রী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নিধনযজ্ঞ বন্ধের দায়িত্ব বর্তায় দেশটির সামরিক ও বেসামরিক সরকারের নেতৃত্বের উপর।’
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও লা ফ্রাঙ্কোফোনি মন্ত্রী মারি ক্লড বিবিউ মিয়ানমারের সংকটপূর্ণ অবস্থার প্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে দুই মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের দুর্দশার বিষয়ে কানাডা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলার অংশ ও হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন।’
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের আহ্বান জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আবারও আমরা কর্তৃপক্ষকে (মিয়ানমার) অনুরোধ করছি, রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের অধিকারপূর্ণ স্থানে বাস করার সুযোগ দিতে হবে। যেখানে তারা নিপীড়ন থেকে মুক্ত থাকবে এবং আইনতপূর্ণ সমতা ভোগ করতে পারবে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আগস্ট মাসে সহিংসতা শুরুর পরই কানাডার ফ্রিল্যান্ড রাখাইনে সহিংসতার বিষয়ে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এক সপ্তাহ আগে সহিংসতার বন্ধের জন্য তিনি মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
২ অক্টোবর যেসব বিদেশি কূটনীতিকদের রাখাইনে নিয়ে যায় মিয়ানমার সরকার সেই দলে কানাডার রাষ্ট্রদূতও ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে রাখাইনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। তবে এই সহযোগিতা পর্যাপ্ত নয়, কানাডাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও এগিয়ে আসতে হবে।
সহিংসতার বন্ধের জন্য মিয়ানমারকে কানাডার আহ্বানের কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার দাবি জানান দুই মন্ত্রী।