মিয়ানমারের সঙ্গে চলমান শরণার্থী সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল থানি এই আগ্রহের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক পত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন ।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশেষ দূত ড. মুতলাক বিন মাজেদ আল কোয়াথানি আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুপক্ষেরই জন্য সুবিধাজনক কোন এক সময়ে তিনি কাতার সফরে যাবেন।
বৈঠকে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বলবৎ রাখার জন্য এক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার দরকার।’
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং আমাদের মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ও চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়ার আহবান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় কাতারের আমির তামিম বিন হামিদ আল থানী এবং প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন নাসের আল খলিফা আল থানীর প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।