এ যেন হার মানায় বলিউডি গল্পকেও। ফোনের ভিডিও চ্যাটে বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন এক তরুণ। এমন সময় দুষ্কৃতী হামলা। অপহরণ করা হয় তাঁকে। অপহরণকারীরা লক্ষ্যই করেনি ফোনের ভিডিও চ্যাটটি অন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ওই বান্ধবীর উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই বাঁচানো সম্ভব হয় তরুণ ওই ব্যবসায়ীকে। মঙ্গলবার রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পিতমপুরার ঘটনা। সোনিপাতের কুন্দলির ফ্যাক্টরি থেকে সে সময় নিজে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নীতিশ আরোরা নামের ওই তরুণ। জিটি কার্নাল রোডে রোহিনীর কাছে সিন্ধু বর্ডার অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি সাদা রংয়ের মারুতি তাঁর পিছু নেয়। সেই সময় বান্ধবীর সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করছিলেন নীতিশ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারুতি গাড়িটি তীব্র গতিতে নীতিশের গাড়িকে অতিক্রম করে পথ আটকে দাঁড়ায়।
গাড়ি থামাতে বাধ্য হন নীতিশও। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুই জন লোক নেমে আসে মারুতি থেকে।
আরোরা পুলিশকে জানান, এরপর হঠাৎই তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি জুড়ে দেয় ওই দুই ব্যাক্তি। জোর করে তাঁকে বের করে আনা হয় গাড়ি থেকে। তাঁর মাথায় বন্দুক ধরে টানতে টানতে উঠিয়ে দেওয়া হয় মারুতিটিতে। পুরো সময়টিতেই নীতিশের ফোনে ভিডিও চ্যাটে অন ছিলেন ওই বান্ধবী। গোটা ঘটনাটি দেখে তৎক্ষণাৎ নীতিশের বাড়িতে ফোন করেন ওই বান্ধবী। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘটমনাটি জানানো হয় রোহিনী থানায়।
আরোরার ফোন ট্র্যাক করে সহজেই তাঁর অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। রোহিনী থানার ডিএসপি ঋষি পাল জানান, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে নীতিশের লোকেশনে পৌঁছে যায় পুলিশের পেট্রোলিং ভ্যান। পুলিশ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারা এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এক জন। তবে দুই অপহরণকারীকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জন নয়ডার বাসিন্দা। তাদের নামে আগেও গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। ওই দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।