বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রূপান্তরের জন্য নেওয়া হয়েছে বাস্তবভিত্তিক নানামুখী পদক্ষেপ। পাট থেকে অমিত সম্ভাবনাময় চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার কোমল পানীয়, নদী ভাঙ্গন রোধে পরিবেশ বান্ধব জুট জ্ওি টেক্সটাইল, পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বিজেএমসি ও পাট খাতের সুদিন ফিরে আনতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি।
পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) মিলসমূহের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন মূল্যায়ন সভায় জানানো হয়, সদ্যবিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) লোকসান কমেছে ১৭৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৬৫৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ
বিজেএমসিকে আত্মনির্ভরশীল সরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মৌসুমের শুরুতেই পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজীকরণ ও এসএমএস ভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থা,কাঁচা পাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিসহ নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলে বিজেএমসির ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে।