প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময়ের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে এসেই গেল সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন। কিংবদন্তি শচিন তেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকার সুযোগ পেয়ে গেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) প্রথম একাদশে। তেইশ বছরের বাঁ-হাতি পেসার মুম্বাইয়ের হয়ে অভিষেক করলেন নিজের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই।
রবিবাসরীয় আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (Mumbai Indians vs Kolkata Knight Riders, MI vs KKR)। আর এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করছে মুম্বাই। কলকাতার ইনিংসের শুভারম্ভই হল অর্জুনের প্রথম ওভার দিয়ে।
অর্জুনের আইপিএল অভিষেকে উচ্ছ্বসিত দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। বন্ধুর ছেলেকে আইপিএলে দেখে আবেগি হয়ে পড়েন সৌরভ। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘অর্জুন মুম্বাইয়ের হয়ে খেলছে। দেখে খুবই খুশি হলাম। চ্যাম্পিয়ন বাবা আজ অত্যন্ত গর্ব বোধ করবে। অর্জুনকে অনেক শুভেচ্ছা।’
২০২১ মৌসুমে অর্জুনকে ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল মুম্বাই। কিন্তু চোটের জন্য মুম্বাইয়ের হয়ে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তাঁর। এরপর মুম্বাই ছেড়ে দেয় অর্জুনকে। নীতা আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্যাপ্টেন রোহিত (১৬ কোটি টাকা), বুমরা (১২ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (৮ কোটি টাকা) ও কায়রন পোলার্ডকে (৬ কোটি) ধরে রেখেছিল। ২০২২ সালে ৪৮ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নেমে অর্জুনকে ফের ৩০ লক্ষ টাকায় দলে ফিরিয়েছিল মুম্বাই। যদি গত মৌসুমে একটি ম্যাচও অর্জুনকে খেলায়নি তাঁর দল। যদিও ফ্যানরা বারবার বলেছিলেন যে, এবার তাঁরা অর্জুনকে দেখতে চান দলে। কিন্তু মুম্বাই অর্জুনকে একটি ম্যাচেও খেলায়নি।
ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চ গরম করার পর অর্জুনের লক্ষ্যভেদ। সৌরভ-শচিন আসলে ‘গড অফ ক্রিকেট’ এবং ‘গড অফ অফসাইড’। এই দুই কিংবদন্তির সম্পর্ক শুধু বাইশ গজেই সীমাবদ্ধ নয়। দেখতে গেলে পারিবারিক সম্পর্কেও আবদ্ধ তাঁরা। দুই প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে একটি ক্রিকেট ক্যাম্পে। বাকিটা ইতিহাস। ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জুটি বেঁধে বাইশ গজে সর্বোচ্চ রানের (৮২২৭) পার্টনারশিপ গড়েছেন তাঁরা। এই দু’জন মিলে ভারতীয় ক্রিকেটের মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছেন। আজও শচিন-সৌরভের একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান অন্য পর্যায়ের। ইংল্যান্ডের মাটিতে পঞ্জাশ ওভারের বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি বক্সেও শচিন-সৌরভের বন্ধুতার প্রতিফলন ফুটে উঠেছিল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ঠাট্টা-ইয়ার্কিতে মেতেছিলেন তাঁরা।–জি নিউজ