গত সপ্তাহে একটি শিবির থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বসনিয়া। অগ্নিকাণ্ডের জন্য শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে দেশটি।
আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যের শরণার্থীদের উত্তর-পশ্চিম বসনিয়ার বহুল-সমালোচিত লিপা শিবির থেকে ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দূরে ব্র্যাডিনা শহরে সাবেক সেনা ব্যারাকে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বুধবার তাদেরকে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার শিবিরে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা তাদেরকে বাসে কাটাতে হয়। খবর আল জাজিরার
প্রায় বারোশ শরণার্থী বাস করছিলেন উত্তর-পশ্চিম বসনিয়ার লিপা শরণার্থী শিবিরে। গত সপ্তাহে সেই ক্যাম্পে আগুন লেগে যায়। বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, ওইদিনই শিবিরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী বসনিয়ায় আটকে পড়েছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য তারা রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু বসনিয়ায় পৌঁছানোর পরে তারা আর এগোতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে অধিকাংশ শরণার্থীই জঙ্গলে বসবাস করছিলেন। কেউ কেউ বেছে নিয়েছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শেড অথবা ভাঙা বাড়ি। পরে সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে অধিকার আন্দোলনকারীরা সরব হন। কয়েকটি ক্যাম্প তৈরি করা হয় শরণার্থীদের জন্য। যদিও তা মোট শরণার্থীর তুলনায় নেহাতই অপ্রতুল।
লিপার শিবিরও তেমনই একটি ক্যাম্প ছিল। তৈরির সময়েই বলা হয়েছিল, এই শিবির সাময়িক। যে ক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ক্যাম্পে বসবাসকারীরা এই ঠান্ডার মধ্যে কোথায় গিয়ে থাকবেন, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ফলে ক্যাম্প ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ বসবাসকারীরা সেখানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও সহায়তা দলগুলি মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে এবং বসনিয়াতে অভিবাসীদের শিবির থেকে দূরে সরিয়ে নিতে চাপ বাড়িয়েছে।