আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে যে সব অসুখ ঘাড়ে চেপে বসছে, তাদের মধ্যে উপরের দিকে ডায়াবেটিসকে ঠাঁই দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। তাদের হিসেবে শতকরা ৬৫ শতাংশ মানুষই অসুখ হানা দিলে বুঝে উঠতে পারেন না। টের পান না ডায়াবেটিসের উপসর্গ। আর তাতেই বাড়ে সমস্যা। দেরি করে রোগ নির্ণয়ের যাবতীয় বিপদ থাবা বসায়।
ব্যস্ত জীবনে অসুখের আগে তার উপসর্গ নিয়েও খুব একটা মাথা ঘামানো হয়ে ওঠে না আমাদের। বরং অসুখের শিকার হলে তবেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।
তবে চিকিৎসকদের মতে, সতর্কতাই এই ধরনের সমস্যা সমাধানের প্রধান উপায়। ডায়াবেটিস আক্রমণের আগে নানা ভাবে তার লক্ষণ জানান দেয় শরীর। তখন সাবধান হলে বিপদ ঠেকানো সহজ হয়। ডায়াবেটিস হানা দিলে কী ভাবে তা বুঝবেন?
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে তাকে শরীর থেকে বার করে দেওয়ার জন্য কিডনির উপর চাপ পড়ে। তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। আবার অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণে শরীরের পানি বেরিয়ে তেষ্টাও পায় প্রবল।
- ডায়াবেটিসে শরীরের কোনও প্রদাহ সহজে শুকোতে চায় না। এমন হলে সচেতন হোন।
- চোখে ঝাপসা দেখলেও সচেতন হোন। ডায়াবেটিসের প্রভাব পড়ে চোখের উপরেও।
- তেমন খাটাখাটনি না করেও দুর্বল হয়ে পড়া, অল্পেই ক্লান্তি থাবা বসালে সচেতন হোন। রক্তে শর্করা বাড়লে দুর্বল হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক।অন্য অনেক কারনেই এমন দুর্বলতা হানা দিতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শর্করা পরীক্ষা করে নিন।
- হঠাৎ অনেকটা ওজন কমে গেলে বা অত্যধিক বেড়ে গেলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করিয়ে রাখুন।
- হাত-পা কিংবা হাত-পায়ের কোনও আঙুল কি অবশ হয়ে পড়ছে? এমন হলে দ্রুত সতর্ক হোন। রক্তে শর্করা বাড়ার এটি অন্যতম লক্ষণ।
- শরীরের ঘা সহজে শুকোতে না চাইলেও সচেতন হোন। এটিও শর্করার আধিক্যের কারণে হয়।