১. কতটা শর্করা আমাদের গ্রহণ করা উচিত
বিস্কুট দিয়ে শরীরের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে এটা পরিমাপ করার জন্য দ্রুত ও সহজ একটি পরীক্ষা রয়েছে।একটি সাধারণ বিস্কুট চাবাতে শুরু করুন, যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারছেন যে, সেটির স্বাদ পাল্টে যাচ্ছে- সাধারণত এটা খানিকটা মিষ্টি লাগতে শুরু করে, কিন্তু আপনি হয়তো অন্য স্বাদগুলোও টের পাবেন। যদি এই স্বাদ পরিবর্তনের ঘটনাটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে, তাহলে পরিমিত পরিমাণেই শর্করা গ্রহণ করছেন। যদি ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে, তাহলে খুবই ভালো।
২. খারাপ শর্করাও ভালো শর্করায় পরিণত হতে পারে-
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, রান্না করা এবং ঠাণ্ডা করার ফলে খারাপ শর্করা অনেক সময় ভালো শর্করায় পরিণত হয়ে যায়। খারাপ শর্করা সহজেই গলে গিয়ে চিনিতে পরিণত হয় এবং দ্রুত শরীরের সঙ্গে মিশে যায়, যা ওজন বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু ভালো শর্করা মিশে যায় না। অনেক পথ পাড়ি দিয়ে সেটি পাকস্থলীতে জমা হয়, যা দেখে আনন্দিত হয় সেখানকার ব্যাকটেরিয়া।
৩. খারাপ শর্করাকে ভালো শর্করা বানিয়ে পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনুন
খারাপ শর্করাকে ভালো শর্করা বানিয়ে পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন। যেসব শ্বেতসার আমরা খেয়ে থাকি, তার প্রায় ৯৫ শতাংশই সহজে হজম হয়ে যায়। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা জানেন, এর মধ্যে ছোট একটি ভাগ আছে- যাকে বলা হয় প্রতিরোধী শ্বেতসার-যেটি পেটের ভেতরে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার খাবারে পরিণত হয়। এটি এমন রাসায়নিক তৈরি করে, যা পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক সহায়তা করে। শুধুমাত্র খারাপ শর্করাকে ভালো শর্করায় রূপান্তরিত করে আপনি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আরো ত্রিশ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
৫.পরিশোধিত শর্করা ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে
খারাপ শর্করায় চিনি বেশি থাকে, যার পরিমাণ বেশি হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকরা দেখতে পেয়েছেন, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে অনেক ডায়াবেটিক রোগী ইনসুলিনের কার্যকারিতা হারাচ্ছেন।
৬. কম শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস-২ প্রতিরোধ করতে পারে
ভালো খাবার হয়তো সারাজীবনের ওষুধ থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। সাধারণ নিয়ম হলো, আপনার প্লেটের খাবারের রঙের দিকে তাকান। বাদামী এবং সাদা খাবার বাদ দিন, তবে সবুজ খাবার বাড়িয়ে দিন। গবেষণা বলছে, খারাপ শর্করা দূর করতে পারলে রক্তে গ্লুকোজের গড় পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনতে পারে। রক্তে বেশি চিনি থাকার পরিমাণ হলো আপনার ডায়াবেটিস ঝুঁকির পরিমাণও অনেক বেড়ে যাওয়া।
সূত্র: বিবিসি বাংলা