পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে যে বাংলাদেশ ভবন তৈরি হয়েছে সেটির উদ্বোধনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন না। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে মৌখিকভাবে একথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকে উপস্থিত থাকার যে আমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছেন তাদের এখন পর্যন্ত মমতার অনুপস্থিতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় নি। সাধারণভাবে কোন রাজ্যে কোন অনুষ্ঠানে দেশের ও বিদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্য বশত সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী কেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না সে ব্যাপারে অবশ্য নবান্নে কর্তারা মুখ খুলতে রাজি হন নি। বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ উদ্বোধন করার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
এদিনই উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ ভবনেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মধ্যাহ্ন ভোজে মিলিত হবেন। সেই সময় দুজনের মধ্যে একান্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে ভাষণও দেবেন। এই সমাবর্তনে উপস্থিত থাকছেন আচার্য্য হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে অন্ডালে নজরুল বিমানবন্দরে নেমে আসানসোলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি গ্রহণ করবেন। এদিন সন্ধ্যাতেই তিনি কলকাতা হয়ে ঢাকায় ফিরে যাবেন।