জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পোল্যান্ডের কাতোভিতসা শহরে শুরু হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক সম্মেলন। রোববার (০২ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। খবর আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। এমন একটি দৃশ্যপটে আমরা একত্রিত হয়েছি যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইস্যুগুলো জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতিসমূহ এখানে পর্যালোচনা করা হবে।
প্যারিস চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সের লরেন্ত ফ্যাবিয়াস বলেন, আমরা এখন জলবায়ু পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে রয়েছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে চূড়ান্ত ও জরুরি সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে আমাদের।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ঝুঁকি এড়াতে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা আশা করলেও বিপরীতে অনৈক্য ও দূরত্বই বেড়েছে। পূর্বের মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জি-২০ সম্মেলনেও জানায় তারা প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছে। এমনকি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি ব্রাজিলও ২০১৯ সালের জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপরদিকে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন বলছে, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এখনি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। বর্তমান প্রজন্মই হয়তো প্রথম যারা এই সমস্যাটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছেন, হয়তো এ সমস্যা মোকাবিলায় তারাই সর্বশেষ সুযোগ পাবেন।
তিন বছর আগে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হওয়া জলবায়ু সম্মেলনে দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা যৌক্তিক বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সেসময় বলা হয়েছিল তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি বিশ্বশক্তিগুলো।