আজ (১২ নভেম্বর) সকাল ৭ টা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। রাজ্যের ৯০ টি আসনের মধ্যে সোমবার প্রথম দফায় আটটি জেলার ১৮ টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে, এর সবগুলিই মাওবাদী অধ্যুষিত জেলার অন্তর্গত।
এই দফায় প্রায় ত্রিশ লাখেরও বেশি ভোটার ১৯০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধরণ করবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী রমন সিং সহ আরও দুই মন্ত্রী।
এদিকে ভোট শুরু হওয়ার পরপরই নতুন ভোটারদের পাশাপাশি শতবর্ষ পেরোনো বৃদ্ধাকেও ভোটের লাইনে দেখা গেছে। এখনও পর্যন্ত কোন অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে তিনবার রাজ্যটির শাসনবার দখল করে এসেছে বিজেপি। এবার তাদের চতুর্থবার সরকারের গড়ার পালা। ভোটারদের মন কাড়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ দেশটির দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন।
সোমবার সকালেই ট্যুইট করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছত্তিশগড়ের মানুষদের উৎসাহের সাথে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ছত্তিশগড়ে এটা প্রথম দফার নির্বাচন। আমি সকল ভোটারদের অনুরোধ করবো তারা যেন উৎসাহের সাথে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে যোগ দেন।’
এদিকে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। গত ১৫ দিনে প্রায় ছয়টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। নিহত হয়েছে ১৩ জন নাগরিক, যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা দুরদর্শনের এক চিত্র সাংবাদিকও। স্বাভাবিক ভাবেই মাওবাদী নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই ১৮ টি আসনে ভোটের নিরাপত্তায় এক লাখ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। আকাশপথে নজরদারি রাখতে বিমানবাহনীর হেলিকপ্টারের ব্যবহার হচ্ছে, চলছে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারিও।
অন্যদিকে দীর্ঘ দেড় দশক বাদে ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। পাশাপাশি মায়াবতীর দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি)-এর সাথে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় (জেসিসি)। জানা গেছে দ্বিতীয় দফায় ৭২ টি আসনে ভোট নেওয়া হবে আগামী ২০ নভেম্বর। ফলাফল আগামী ১১ ডিসেম্বর।