ডিএমপি নিউজঃ বিশ্বের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করার উদ্দেশ্যে ঢাকার বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন চার্লি ক্যাম্পবেল।
প্রতিবেদনের শুরুতে টাইম ম্যাগাজিন বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা যিনি গত এক দশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সত্তরোর্ধ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম। তার নেতৃত্বে ১৭ কোটি মানুষের স্বল্পোন্নত দেশটি এখন এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম সম্প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। একাধারে তিনি সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের মোকাবিলা করে কৃতিত্বের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করছেন।
বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পুলিশের যানবাহন এবং বাসেও আগুন দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। এবার তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবার গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই বছরের ১৬ জুলাই তাকে নিজ বাসভবন ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার শাসনামলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি হয়।
তাই, ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার কিংবা ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী হওয়া শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, দেশের মানুষ তার সাথে আছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে হারানো সহজ নয়। একমাত্র বিকল্প হল নির্মূল করা এবং তিনি জনগণের জন্য মরতেও প্রস্তুত।