শেষ হল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৪তম আসর। মাসব্যাপী চলার পর গত শনিবার রাত ৮টার পর মেলার প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হয়।
শুক্রবার ছিল মেলার শেষ দিন। ব্যবসায়ীদের আবেদনের কারণে মেলার সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় শনিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি, বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে। প্রতিবার মেলার শেষ দিন সাধারণত বিক্রি বেশি হয়, এবারও তাই হয়েছে।
শনিবার সকালে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা ও সেরা প্যাভিলিয়ন মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছে। গত বছর ২৩তম আসরে ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর রপ্তানি আদেশ বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা।
এবার মেলায় অনন্য সম্মাননা পুরস্কার, সেরা প্যাভিলিয়ন, সেরা স্টল, সেরা রেস্তোরাঁ ও সেরা প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে ৪২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। অনন্য সন্মাননা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। ১৩ প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড কালার ট্রফি, ১৪ প্রতিষ্ঠানকে সিলভার ট্রফি এবং ১৫ প্রতিষ্ঠানকে ব্রাস ট্রফি দেওয়া হয়।
ভ্যাট দেওয়াকে উৎসাহিত করতে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে তিন প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী হিসেবে ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং এসকোয়ার ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড।
গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্য স্টল ৪১২টি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে। দেশগুলো হলো— থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।