সেরিব্রাল পালসি। শৈশব কেড়ে নেয়া এই শব্দ দুটি এখনও খুব একটা পরিচিত নয়। অথচ দেশে প্রতি হাজারে পাঁচটি শিশু ভুগছে মারাত্মক এই রোগে। যার মূল কারণ দেরিতে প্রসব আর অসচেতনতা। যেকোনো শারীরিক প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ এই সেরিব্রাল পালসি।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিরাময়যোগ্য না হলেও নিরাপদ প্রসব এ রোগের হার কমাতে পারে ৭০ শতাংশ। সেরিব্রাল পালসির সঠিক কারণ এখনো অজানা। গর্ভাবস্থায় জন্মের সময় কিংবা জন্মের ৩ বছরের মধ্যে মস্তিষ্কে কোনো আঘাত শিশুকে সেরিব্রাল পালসির দিকে ঠেলে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কে আঘাতই প্রায় ৭০ ভাগ শিশুর সেরিব্রাল পালসির কারণ।
শিশুর প্রথম তিন বছরের মধ্যেই সেরিব্রাল পালসির উপসর্গ দেখা যায়। এই রোগ মানুষের শরীরের যেকোনো অঙ্গই আক্রমণ করতে পারে এবং তা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা হয়। কিছু শিশুর খুবই সামান্য অসুবিধা দেখা যায়। সেরিব্রাল পালসির লক্ষণগুলো নিম্নরুপ।
১.নিঃশ্বাসের অসুবিধা
২.কোনো কিছু হাত দিয়ে ধরার অক্ষমতা
৩. চিবাতে অসুবিধা
৪. কারো সাহায্য ছাড়া বসতে বা দাঁড়াতে না পারা
৫. শুনতে না পাওয়া
৬. শরীরের কোনো অংশে যন্ত্রণা
চিকিৎসকরা বলছেন, এ রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। তবে অবহেলা না কোরে রোগীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার পরামর্শ তাদের। সেরিব্রাল পালসি এখনও অধিকাংশ মানুষের কাছেই একটি অজানা রোগ। তাই এরকম ঘাতক ব্যাধি কোনো নবজাতককে আক্রমণ না করে সেজন্য শিশুর ডেলিভারিতে দেরি না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।