ডিএমপি নিউজঃ গত ২১ জুন’ ১৭ রূপনগর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকা হতে উদ্ধারকৃত পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানকে ছিনতাইকারীরা শ্বাসরোধ করেই হত্যা করেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ (সিটিটিসি) কমিশনার মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংকালে একথা বলেন ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান।
সিটিটিসি প্রধান বলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি টিম গত ২২ জুলাই’১৭ তারিখ ১৯.৪০ টায় গাজীপুর জেলার টঙ্গি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এএসপি মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যায় জড়িত ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতর নাম- মোঃ শাহ আলম @ আলম @ বুড্ডা। আমাদের আগের প্রাপ্ত তথ্য ও শাহআলমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মিলে যায়। তাতে জানা যায় ঈদের আগে রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকায় হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজান তার কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশ্যে ভোরে রওনা হন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শাহ আলম জানায় তার সহযোগী মিন্টু, কামাল ও ফারুক গত ২১ জুন’ ১৭ ইং তারিখ ফজরের আযানের পর ৩ নং সেক্টরের মসজিদের পাশে ছিল। এ সময় এএসপি মিজানুর রহমান তাদের সামনে আসলে তারা তাকে যাত্রী সেজে ডেকে তাদের প্রাইভেটকারে উঠায়।
এএসপি মিজানুর রহমানকে গাড়ীতে উঠানোর পরই ড্রাইভার জাকির খুব জোরে গাড়ীতে গান বাজিয়ে, লাইট বন্ধ করে দ্রুত গাড়ী চালিয়ে জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং, পরে উত্তরা ১০ নং সেক্টর এর দিকে যায়। তখন গাড়ীর পিছনের সীটে বসা মিন্টু মিজান সাহেবের মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করে।
তাদের মধ্যে একজন এএসপি মিজান কে প্রাইভেটকারে থাকা জুট কাপড়ের টুকরা দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিয়ে ধরে। কিছুক্ষণ পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে টহল পুলিশের ভয়ে মেইন রোড ব্যবহার না করে ১০ নং সেক্টর হতে গলি পথ ধরে বেড়ি বাঁধ এলাকায় পৌঁছে। বিরুলিয়া ব্রীজের আগেই রাস্তার বাম পাশে ঘন গাছপালা দেখে জাকির গাড়ী থামায়। মিন্টু, কামাল ও ফারুক দ্রুত এএসপি মিজানকে মৃত অবস্থায় গাড়ী থেকে নামিয়ে রাস্তার বাম পাশে রেখে সকলেই গাড়ীতে উঠে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন- এরা সাধারণত একজন যাত্রীকে টার্গেট করে গাড়ি উঠিয়ে তাকে দুই পাশ দিয়ে চেপে ধরে কোন কিছু দিয়ে হত্যা করে। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটিই হয়েছে। সাধারণত তারা পুলিশ ও সাংবাদিক পেলে তাদের ছেড়ে দিলে বিপদ হতে পারে ভেবে হত্যা করে। এএসপি মিজানকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে তারা হত্যা করে। শাহআলমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ঐ গাড়িতে ছিনতাইকারী চারজন ছিলো। বাকি তিনজনকে গ্রেফতার ও ছিনতায়ে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।