শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর শ্রমিকনেতা হিসেবে আবির্ভূত হন রামাফোসা। ১৯৮২ সালে ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মাইনওয়ার্কার্স (এনইউএম) গঠন করেন তিনি। এই সংগঠনের ৩০ হাজার সদস্যের ১৯৮৭ সালের খনি অবরোধে শ্বেতাঙ্গ শাসনের ভিত নড়ে যায়।
বর্তমানে এই শ্রমিক নেতায় দক্ষিণ আফ্রিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ১৯৫২ সালে জোহানেসবার্গের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোয়েতোতে জন্ম তাঁর। রামাফোসা টার্ফলুপের ইউনিভার্সিটি অব নর্থে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেয়ার পর সাউথ আফ্রিকান স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের শাখা নেতা নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে বেশ কয়েকবার জেল খেটেছেন তিনি।
১৯৯০ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা মুক্তি পাওয়ার পর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সময়টায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন ছিলেন রামাফোসা। নতুন সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে নেতৃত্ব দেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে (এএনসি) ম্যান্ডেলা–পরবর্তী নেতা হিসেবে ১৯৯৯ সালে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন রামাফোসা। কিন্তু সে দফায় ব্যর্থ হতে হয় তাঁকে। এরপর ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। সাফল্যও পান। প্রভাবশালী বাণিজ্য সাময়িকী ফোর্বস-এর ২০১৫ সালের আফ্রিকার ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৪২ নম্বরে ছিলেন রামাফোসা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এক দশক অনুপস্থিত থাকার পর আবারও সক্রিয় হন রামাফোসা। ২০১২ সালে তিনি এএনসির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ডেপুটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বর মাসে এএনসির সম্মেলনে জুমা-পরবর্তী নেতা হিসেবে তাঁকে নির্বাচন করা হয়।