জ্যামাইকাকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মত কনকাকাফ গোল্ডকাপের শিরোপা ঘরে তুলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ২–১ গোলে হারায় জ্যামাইকাকে।
জর্ডান মরিসের বিলম্বিত গোলের সুবাদে এই জয়ের ফলে ষষ্ঠবারের মত শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হল মার্কিনীরা। অবশ্য মেক্সিকো ৭বার এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করে এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক শিরোপা জয়ের আসনটি দখল করে রেখেছে। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে দেয়া গোলের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের শিরোপা নিশ্চিত করে দেন মরিস।
সান্তা ক্লারায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করে যুক্তরাস্ট্রকে এগিয়ে দেন জজি আলটিডোরে। তবে আন্ডর ডগ হিসেবে ফাইনালে অংশগ্রহন করা জ্যামাইকার ফুটবলার জে–ভন ওয়াটসন ৫ মিনিটের ব্যবধানেই গোলটি পরিশোধ করে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন। ম্যাচের ৫০তম মিনিটের ওই সমতা সুচক গোল মার্কিন শিবিরেও আতংক ছড়াতে থাকে। কারণ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোকে হারিয়েই ফাইনালের টিকিট লাভ করেছে জ্যামাইকা।
এটি দলটির পরপর দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে অংশগ্রহন। ২০১৫ সালের আসরেও ফাইনালে ওঠেছিল জ্যামাইকা। তবে তাদের হারিয়ে সপ্তমবারের মত গোল্ডকাপের শিরোপা নিশ্চিত করেছিল মেক্সিকো। ওই আসরে যুক্তরাষ্ট্রকে সেমি–ফাইনাল থেকে বিতাড়িত করেছিল ক্যারিবীয় এই দ্বীপদেশটি।
শিরোপা জয় করতে না পারলেও পরপর দুই আসরের ফাইনালে অংশ নেয়া দল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর পাশের আসনে অবশ্য জায়গা করে নিয়েছে জ্যামাইকা। সেই সঙ্গে একমাত্র দল হিসেবে পরপর দুই টুর্নামেন্টে হেরে যাবার রেকর্ডটিও নিজেদের নামের পাশে যুক্ত করেছে ক্যরিবীয়রা।
টুর্নামেন্টটি প্রবর্তনের পর থেকে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রই ঘুরে ফিরে শিরোপা জয় করে আসছে। শুধুমাত্র ২০০০ সালে একবার কানাডা এই শিরোপা লাভ করেছে।
ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য ব্যাকফুটে চলে যায় জ্যামাইকা। ইনজুরির কল্যানে হারাতে হয় তারকা গোল রক্ষক আন্দ্রে ব্লেককে। হাতে আঘাত পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। খেলা শেষে জ্যামাইকান দলের প্রশংসা করে মার্কিন তারকা মরিস বলেন,‘ জ্যামাইকাকেই ম্যাচটির জন্য প্রশংসিত করা উচিৎ। কারণ তারা ফাইনাল ম্যাচকে কঠিণ করে তুলেছিল। যে কারণে আমি শুধু চেস্টায় ছিলাম তাদের পরাজিত করার জন্য। শেষ পর্যন্ত আমি জালের দেখা পেয়েছি।’
জ্যামাইকার কোচ থিয়েডর হিটমোর বলেন ,‘ মরিসের ওই গোলটি আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছে। তবে এটি ফুটবল। আপনি যদি মেক্সিকোর বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সেমি–ফাইনাল ম্যাচের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন সেখানেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। ৮৮তম মিনিটে জ্যামাইকা জয়সুচক গোলটি করেছিল।’