করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সংগীতার কর্ণধার সেলিম খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার দুপুর থেকেই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন সেলিম খান। সংগীত প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি’র মহাসচিব ও সিএমভি’র কর্ণধার এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
পাপ্পু জানান, করোনা পজিটিভ হয়ে ৪ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেলিম খান। গতকাল দুপুর থেকে টানা ২০ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ সেটিও আর কাজ করছিল না।
সেলিম খানের ছোট ভাই এবং সংগীতার সিইও রবিন ইমরান জানান, আজ বাদ আসর রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার সেলিম খানের বাসভবনের সামনে জানাজা শেষে জুরাইন গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
রবিন আরও বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সুযোগও পেলাম না। তার শরীরের অবস্থা ভালো না তাই ইমপালস হাসপাতালেই বুধবার দুপুরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলো।’
উল্লেখ্য, অডিও জগতে সেলিম খান ও সংগীতা পরিচিত নাম। দেশের সংগীতে কয়েক যুগ ধরে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তারা। অডিও ভিডিও প্রযোজনা করে সংগীত এগিয়ে নিতে সেলিম খানের রয়েছে ব্যাপক অবদান।