দেশের অন্যতম সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। তাঁকে বাংলাদেশের সংগীতের জাদুকর বলে অভিহিত করা হয়। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সষ্ট্রা তিনি। সংগীতে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর বাইরেও অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। সংগীত সাধনা করে গুণী এই মানুষটি পার করেছেন জীবনের ৫৭টি বছর। এসব কিছু মিলিয়ে নিভৃতচারী এই সংগীত পরিচালককে ‘হিউম্যান রাইটস্ অ্যাওয়ার্ড’ আজীবন সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি।
আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর শাহবাগস্থ কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। এম. ইব্রাহিম পাটোয়ারী বলেন, “সোসাইটির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য গুণীজনদের ‘হিউম্যান রাইটস্ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে। এ বছর সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে। তাঁর মতো গুণী মানুষকে সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত।”
১৯৬৫ সালে রেডিও পাকিস্তানে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৬৮ সালে শেখ সাদী খান যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে। তবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্ত হন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সঙ্গে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। শেখ সাদী খান সত্তরের দশকে সংগীত পরিচালক খন্দকার নুরুল আলমের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। চলচ্চিত্রের প্রথম সংগীত পরিচালনা করার সুযোগ পান ১৯৮০ সালে। চলচ্চিত্রটির নাম ছিল আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘এখনই সময়’। প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান তিনি।
তাঁর সুর করা জনপ্রিয় কিছু গানে হলো, ‘ ডাকে পাখি খোল আঁখি’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘ জীবন মানে যন্ত্রণা নয় ফুলের বিছানা’, ‘ ভালোবাসলে সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না’, ‘কাল সারা রাত ছিল স্বপ্নের রাত’, ‘আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙ্গাল’, ‘তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে’, ‘তোমার চন্দনা মরে গেছে’ ইত্যাদি।