বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। সেই শোক ভুলতে সবজি বিক্রি আর বাড়িতে কাজ করার আয়ে গড়ে তুলেছেন হিউম্যানিটি হাসপাতাল।
ভারতের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে যখন লক্ষ লক্ষ টাকার বিল। সহায় সম্বলহীন পরিবারের অসহায় আত্মসমর্পণ। এমনকী মারা যাচ্ছে রোগী। বুকফাটা হাহাকার পরিবারের। বারবার এভাবেই মানবিকতার মৃত্যু ঘটছে। কিন্তু সেই শহরেও রয়েছে এমন এক হাসপাতাল, যেখানে মানবিকতাই শেষ কথা। বেহালার হাসপুকুরের হিউম্যানিটি হাসপাতাল। প্রায় বিনা খরচে যেখানে চিকিত্সা পরিষেবা পান দুঃস্থ, অসহায় মানুষ।
মমতাজ বেগমের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন রেখে গেছেন শাহজাহান। তাজমহল। সেই অমর কীর্তি। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য।
সেই শাহজাহানের ভালবাসাও হার মেনেছে সুভাষিনী মিস্ত্রির কাছে। প্রায় বিনা চিকিত্সায় চোখের সামনে স্বামীর মৃত্যু দেখেছেন। স্বামীর প্রতি ভালবাসার অসাধারণ নিদর্শন তৈরি করেছেন তিনি। বিন্দু বিন্দু চোখের জলে শপথ নিয়েছিলেন। বানাবেন এক স্বপ্নমিনার। মানুষের উপকারে মানবতার বিরল নজির হয়ে থাকবে সেই স্বপ্নমিনার। স্কুলের গণ্ডি পেরোননি। সামান্য সবজি বিক্রি করেছেন। তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন তাঁর স্বপ্নপূরণের পাঁচিল।
সুভাষিনী মিস্ত্রির স্বপ্নপূরণ হিউম্যানিটি হাসপাতাল। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসার বিরল নিদর্শন। অষ্টম আশ্চর্য বললে কি খুব ভুল বলা হয়! পরের বাড়িতে ঝিগিরি করেও পড়িয়েছেন ছেলেমেয়েকে। কঠোর পরিশ্রম করে নিজের ছেলেকে ডাক্তার করেছেন। মেয়েকে করেছেন নার্স। অনন্য সম্মানে সম্মানিত করে। সম্মান জানিয়েছেন আমির খান, সৌরভ গাঙ্গুলি। দিকে দিকে অমানবিকতার আবহে মানবিকতার আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন সুভাষিনী।
তথ্য সূত্র: জি নিউজ