ভারত ও চীনের মধ্যে বিবাদমান বিষয়গুলো সমাধানে আলোচনায় বসাতে চেষ্টা করছে পেন্টাগন। চলমান উত্তেজনা নিরসন এবং দমনমূলক আচরণ থেকে সরে এসে সরাসরি আলোচনায় বসাটা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে ভাবছে পেন্টাগনের মুখপাত্র গ্যারি রস । খবর পিটিআইর।
সাম্প্র্রতিক কয়েক বছরে চীনের প্রায় সব প্রতিবেশী দেশ বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছে, বেইজিং সীমান্তে উত্তেজনা তৈরিতে দমনমূলক কৌশল নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, কোনো রকম ‘জবরদস্তিমূলক বিষয়’ না রেখেই আলোচনায় বসা উচিত ভারত ও চীনের।
এ মাসের শেষে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বেইজিংয়ে ব্রিকসের বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এই সফরকালে দোভাল চীনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চীন ও ভারতের মধ্যে কারও পক্ষ নেননি রস। পেন্টাগন চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা করছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে রস বলেন, ‘আমরা ভারত ও চীনকে সরাসরি সংলাপে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি। আমরা এ ধরনের বিষয় নিয়ে কোনো বিতর্কে যেতে চাই না।’
পেন্টাগন বলেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তরও একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু পেন্টাগন ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি কোনো ‘জবরদস্তিমূলক বিষয়’ না রাখার কথাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। পেন্টাগনের এই বিবৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা। কারণ বিগত কয়েক বছরে চীনের প্রায় সমস্ত প্রতিবেশী দেশই সীমান্ত সমস্যার সমাধানে চীনের বিরুদ্ধে জোর খাটানোর অভিযোগ করেছে। সিকিম সেক্টরে গত এক মাস ধরে চলা অচলাবস্থা চীনের সে জোর খাটানোর কৌশলেরই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকার স্থিতাবস্থা পাল্টে দেওয়াই চীনের ওই কৌশলের লক্ষ্য। যদিও ভারত চীনের এ ধরনের কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চীন ও ভারত ডোকলাম সীমান্তে পরস্পরের দাবি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। দেশ দুটো পরস্পরকে শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিচ্ছে।