সমুদ্রের উপর এত বড় সেতু এ ভারতে আর নেই। সেই ‘অটল সেতু’ শুক্রবার উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে— ‘অটলবিহারী বাজপেয়ী সেওয়ারি-নভ সেবা অটল সেতু’।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ এই সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেতুর দৈর্ঘ্য ২১.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬.৫ কিলোমিটার সমুদ্রের উপর দিয়ে। বাকি ৫.৫ কিলোমিটার স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রসারিত। সেতুতে রয়েছে ছ’টি লেন। দীর্ঘ এই সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বড় অংশ ঋণ নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন আরও কম সময়ে পৌঁছনো যাবে। মুম্বাই বন্দর এবং নভি মুম্বাইয়ে জওহরলাল নেহরু বন্দরের মধ্যেও কম সময়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এই সেতুর কারণে এবার মুম্বাই থেকে আরও কম সময়ে পুণে, গোয়া, দক্ষিণ ভারতে পৌঁছনো যাবে। এর ফলে পর্যটন শিল্পের আরও উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগে মুম্বাই থেকে নভি মুম্বাই যেতে সময় লাগত দু’ঘণ্টা। রাস্তায় থাকত তীব্র যানজট। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ত। দাবি করা হয়েছে, এর পর ২০ মিনিটে মুম্বাই থেকে নভি মু্ম্বই পৌঁছনো যাবে। শুধু সময় নয়, খরচও বাঁচবে। বাঁচবে জ্বালানি। দাবি করা হচ্ছে, সড়কপথে মুম্বাই থেকে নভি মুম্বাইয়ে এক এক বার যাতায়াত করতে আগের তুলনায় ৫০০ টাকা কম খরচ হবে।
তবে এই সেতুতে যাতায়াতে বড় অঙ্কের টোলও দিতে হবে। একটি গাড়িকে সেতু দিয়ে এক বার যেতে ২৫০ টাকা টোল দিতে হবে। ওই একই দিনে ফিরতে গেলে আরও কিছুটা বেশি টোল দিতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার এই প্রস্তাব পাশ করেছে।
বুধবার মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, অটল সেতুর উপর চার চাকার গাড়ি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চালানো যাবে। গতিবেগ এর থেকে বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। সেতুতে ওঠা এবং নামার সময় গতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার রাখতে হবে। তবে এই সেতুতে মোটরবাইক, অটো বা ট্রাক্টর চলাচল করবে না। গাড়ি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি চলবে। -আনন্দবাজার