প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, ব্যাপক সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে একটি জাতির প্রকৃত বিকাশ সম্ভব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনই এর সত্যতা জোরালোভাবে প্রমাণ করে। সাংস্কৃতিক চর্চা জাতিকে এগিয়ে নেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে সম্পূর্ণভাবে যদি উন্নত করতে হয় তাহলে শুধু অর্থনৈতিক মুক্তি নয়, যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন- সাংস্কৃতিক মুক্তিটাও একান্তভাবে প্রয়োজন এবং সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রটাও প্রসারিত করাও একান্তভাবে প্রয়োজন ।এ জন্য যা যা করণীয় যথন থেকে আমি সরকার গঠন করেছি আমরা করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুরের ধারা’র রজত জয়ন্তী পালন উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতা সবসময় বলতেন স্বাধীনতা মানে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতার অর্থ হলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা। কাজেই সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে একটি জাতি সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে না।
অনুষ্ঠানে এমিরেটাস অধ্যাপক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জাসান নূর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির এবং প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী এবংসুরের ধারা’র কর্ণধার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা স্বাগত বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে চাই, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়েই একটি জাতির বিকাশ ঘটে। আমাদের স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামে এমনকি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে- মার্শাল ল’-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা বিশাল ভূমিকা রখেছেন। তাদের অবদান সবসময় আমরা স্মরণ করি।
তিনি এ সময় সুরের ধারা প্রসঙ্গে বলেন, সুরের ধারার সব থেকে বড় যে কাজটি আমি দেখেছি সেটি হচ্ছে- সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিত সাধারণ শিশুদের সংস্কৃতি শেখানো, গান শেখানো, তাদেরকে মূল ধারায় নিয়ে আসার এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের যে প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছে এজন্য তিনি সুরের ধারা কর্ণধার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।