বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিভিন্ন ক্যাম্পেইনিংয়ে জনসংযোগ করবেন বলে দুদককে জানিয়েছেন। তাকে দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিশেষ আমন্ত্রণে কমিশনের সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয়ে আসেন তিনি। এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান সাকিবকে ক্রেস্ট এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আপনারা ক্রিকেট দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত। আপনি দেশের কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর ‘আইকন’। আপনার কারণে যদি দেশের ১০ জন তরুণ সত্ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয় সেটাও দেশের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।
সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের যেকোনো কর্মসূচিতে আমি আসব। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ। আমরা যখন কোনো দেশের অভিবাসন দপ্তরে আমাদের পাসপোর্ট জমা দেব, তখন তারা যেন মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিমুক্ত এবং বিশ্বের রোল মডেল।’
গত বছর দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এর অর্থ হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইতিবাচক কার্যক্রম হচ্ছে। ঘুষ নিতে এখন ঘুষখোর কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন। অনেক রাঘব-বোয়াল এখন দুদকের জালে। এ ক্ষেত্রে কমিশন ব্যক্তির পদ-পদবি, সামাজিক মর্যাদা, রাজনৈতিক পরিচয় কোনো কিছু দেখছে না। দেখছে অভিযোগের ব্যাপকতা ও গুরুত্ব।