ডিএমপি নিউজ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিন কিশেরারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গতকাল শুক্রবার গাজীপুর এবং চট্টগ্রামে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম।
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ পিপিএম ডিএমপি নিউজকে জানান, ইন্সটাগ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ফেইক ইন্সটাগ্রাম আইডি থেকে কয়েকজন কিশোর তাকে জানায় তার কিছু আপত্তিকর ছবি তাদের কাছে আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় ঐ শিক্ষার্থীকে। এরপর তার কাছ থেকে ভিডিও চাওয়া হয় এবং এনোনিমাস নামে একটি ইন্সটাগ্রাম আইডিতে ভিডিওগুলো দিতে বলা হয়। ঐ শিক্ষার্থী মানসম্মানের ভয়ে কাউকে না বলে ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। প্রতিনিয়ত আরো আপত্তিকর ভিডিও দেয়ার জন্য তাকে চাপ দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে তার মায়ের নগ্ন ভিডিও দেয়ার জন্য তাকে চাপ দেয় অভিযুক্তরা। নতুবা তার ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হবে বলে ভয় দেখায়। ঐ শিক্ষার্থী তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুর এবং চট্টগ্রামে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত হতে ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিযুক্ত কিশোররা সকলেই স্কুল পড়ুয়া এবং পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত। তাদের হেফাজত হতে উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে ইন্সটাগ্রাম ছাড়াও টেলিগ্রামের অনেক প্রাইভেট চ্যানেলের তথ্য সাইবার পুলিশের হাতে এসেছে। ইন্সটাগ্রাম এবং টেলিগ্রামের চাইল্ড পর্নোগ্রাফি চ্যানেল এবং গ্রুপের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ ধরনের সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া ও সন্তানের ডিজিটাল ডিভাইস প্রতিনিয়ত চেক করার পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গ্রেফতারকৃতদের খিলগাঁও থানার রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।