ডিএমপি নিউজ: আজ ৬ জুন ২০১৮ আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক, শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে যানজট নিরসন ও শ্রমিক মালিকদের সচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র সাথে এক যৌথ সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় বাস মালিক শ্রমিকদের টার্মিনাল এলাকায় নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিপিএম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক পূর্ব ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
এছাড়াও, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মোঃ আজমল উদ্দিন সবুর ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সায়েদাবাদ বাস টারমিনাল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যানজট নিরসন ও শ্রমিক মালিকদের সচেতনতামূলক নিম্নবর্ণিত পরামর্শ প্রদান করা হয়।
পরামর্শসমূহঃ
১। সকল বাস টারমিনালের ভিতরে সুশৃঙ্খলভাবে রাখতে হবে।
২। টারমিনালের ভিতরে পার্কিং/ডাম্পিং ও মেরামতের জন্য দীর্ঘ সময় গাড়ি রাখা যাবে না।
৩। টারমিনালের আউট গেটে ব্যাক দিয়ে কোন গাড়িই ঢুকানো যাবে না। ইনকামিং সকল বাস ইন গেট হয়ে/টার্মিনালের পিছনের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করাতে হবে।
৪। টারমিনালের আউট গেট হতে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত কোন গাড়ি সড়কের দুই ধারে দাঁড়াতে পারবে না। এবং মানিকনগর হতে জনপথ ক্রসিং পর্যন্ত সড়কের দুই পার্শ্বে কোন গাড়ি পার্কিং রাখতে পারবে না।
৫। প্রতিটি কোম্পানীর কেবল মাত্র একটি টিকেট কাউন্টার থাকবে পারবে। অবৈধ কাউন্টার/ভ্রাম্যমান টিকেট বিক্রেতা উচ্ছেদ করতে হবে।
৬। আসন্ন রমজানের শুরু হতে ঈদের পর ১৫দিন পর্যন্ত যানজট কমিটির সদস্য সংখ্যা দ্বিগুন করতে হবে এবং প্রত্যেকের নিয়মানুযায়ী লাঠি, বাঁশি পোষাক এবং আইডি কার্ড থাকতে হবে। তাদের ডিউটি পালাক্রমে ২৪ ঘন্টা চলবে। টারমিনাল মালিক/শ্রমিক কমিটি ইহা নিশ্চিত করবেন।
৭। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কোন ক্রমেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশী ভাড়া আদায় করা যাবে না। যা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী।
৮। কলারম্যান সম্পূর্ণ ভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।
৯। যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
১০। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
১১। টারমিনালের ভিতরে হকার, অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হবে।
১২। ফ্লাইওভারে উঠা নামার মুখে কোন গাড়ি পার্কিং করতে পারবে না।
১৩। যাত্রী সচেতনতার জন্য মাইকিং করতে হবে। যাতে পরিচিত লোকদের নিকট টাকা পয়সা, মাল, সামানা হস্তান্তর না করে তাদের নিকট হতে কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ না করে।
১৪। গাড়ির চালক/সুপার ভাইজার/হেলপারদের সড়ক ব্যবহার বিষয়ে সতর্কতামূলক টার্মিনালের আউট গেট ও ভিতরে মাইকিং করতে হবে।
১৫। গাড়ির সকল কাগজপত্র সঠিক থাকতে হবে। চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই থাকতে হবে।
১৬। নাইট কোচ সমূহ টারমিনালের ভেতর হতে ছাড়তে হবে। যত্রতত্র দাঁড় করে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না।
১৭। সকল যাত্রীর নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
১৮। জরাজীর্ণ গাড়ি ও যান্ত্রিক ক্রটি পূর্ণ গাড়ি কোন অবস্থাতেই চলাচল করবে না।
১৯। প্রতিটি গাড়ি রওয়ানা হওয়ার পূর্বে ভালভাবে ম্যাকানিক্যাল চেক করতে হবে। যেমন ব্রেক, ব্যাটারী, টায়ার, স্টিয়ারিং, নাটবল্টু, লুকিং গ্লাস ইত্যাদি।
২০। সংশ্লিষ্ট কোম্পানী গাড়ি ছাড়ার পূর্বে ভিডিও করে সংরক্ষণ করবেন।
২১। গাড়ীর মালিক ও শ্রমিকদের উপরোক্ত সকল বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করতে হবে।