চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অপরাধ বিভাগে আরও চারটি নতুন জোন সৃষ্টি করা হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম-এই চার অঞ্চলে বিভক্ত সিএমপির অপরাধ বিভাগে নতুন ৪টিসহ এখন মোট জোনের সংখ্যা ৮টি। দুটি থানাকে একটি জোনে অর্ন্তভুক্ত করে নতুন চারটিতে একজন করে সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) বসানো হয়েছে। নতুন চারটি জোন হলো চকবাজার, বায়েজিদ বোস্তামী, পাহাড়তলী ও কর্ণফুলী। আগের চারটি জোন হচ্ছে কোতয়ালী, পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং ও বন্দর।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে প্রায় ২০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনে ৬টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল সিএমপি। ২২ বছর পর ২০০০ সালের ২৭ মে সিএমপিতে আরও ৬টি থানা বাড়ানো হয়। এগুলো হচ্ছে, খুলশী, বায়েজিদ বোস্তামী, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, হালিশহর ও কর্ণফুলী থানা। এর ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ৩০ মে নতুন আরও চার থানা গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে আকবর শাহ, সদরঘাট, চকবাজার ও ইপিজেড। বর্তমানে সিএমপির থানার সংখ্যা ১৬টি।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আকরামুল কাদের সাংবাদিকদেরকে বলেন, প্রতিটি বিভাগের অধীনে আগে চারটি থানা ও একটি জোন ছিল। এখন একটি জোন বেড়েছে। তবে বিভাগের দায়িত্বে একজন উপ-পুলিশ কমিশনার এবং একজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারই থাকছেন। শুধু সহকারী পুলিশ কমিশনার পদ বেড়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন চারটি জোনে সহকারী পুলিশ কমিশনাররা দায়িত্ব পালন শুরু করবেন বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, চকবাজার ও বাকলিয়া থানা নিয়ে গঠিত চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে দায়িত্ব পেয়েছেন মো.আরিফুজ্জামান। বায়েজিদ বোস্তামী ও আকবর শাহ থানা নিয়ে গঠিত বায়েজিদ বোস্তামী জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার সোহেল রানা।পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত পাহাড়তলী জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার পংকজ বড়ুয়া। কর্ণফুলী ও পতেঙ্গা থানা নিয়ে গঠিত কর্ণফুলী জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম।