বেতন-ভাতা নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে খেলোয়াড়দের চলমান বিরোধ নিরসনে আলোচনা ভেস্তে গেছে। ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ দিকে মোড় নিল। সিএ’র প্রধান নির্বাহী জেমস স্যাদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রধান নির্বাহী অ্যালিস্টেয়ার নিকোলসনের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় আবারো হুমকির মুখে পড়লো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর।
আর এই ভেস্তে যাওয়ার কারণটাও পুরনো। সিএ লভ্যাংশ ভাগাভাগির নীতি বাতিল করতে চায়। আর এসিএ এই নীতি টিকিয়ে রেখে সেটা জাতীয় দল ও জাতীয় দলের বাইরের সকল ক্রিকেটারদের মধ্যে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পক্ষে। সিএ’র মুখপাত্র সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার খবর স্বীকার না করলেও ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সিএ’র নয়জন পরিচালক এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন।
অজি দল বাংলাদেশ সফরে না এলে হুমকিতে পড়তে পারে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ না হলে অক্টোবরে ভারত সফরেও নাও যেতে পারে স্মিথরা।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ খবরের কাগজ সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর বাতিল হলে অক্টোবরে ভারতের পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও খেলবে না অস্ট্রেলিয়া। অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ১০ আগস্ট থেকে ডারউইনে ক্যাম্প করার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। তবে বেতন-ভাতা নিয়ে জটিলতার কারণে এই ক্যাম্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সময়মত প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু না হলে ভেস্তে যেতে বাংলাদেশ সফর।
২০১৫ সালেই দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশের আসার কথা ছিল দলটির। তবে, নিরাপত্তার ইস্যুতে সেই সিরিজ স্থগিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। একই কারণে গত বছরের শুরুতে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা। তবে, ২০১৬ সালে অবস্থার উন্নতি হয়। তিন দফা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সিএ-কে সবুজ সংকেত দেন তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক শন ক্যারোল। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সিএ। এর মধ্যে দল ঘোষণাও করে দিয়েছে তারা। যদিও এবার অস্ট্রেলিয়ার নিজেদেরই ঘরের জটিলতায় নতুন করে শঙ্কার মুখে পড়লো সিরিজ।