গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না ইসরায়েল। গত শনিবার সিরিয়ায় ডজনখানেক বিমান হামলা চালানোর পর এ কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইরান তাদের একটি ড্রোন সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের ভেতর পাঠিয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে—এমন অভিযোগে গত শনিবার সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে ১২টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইডিএফ)। এসব ঘাঁটিতে সিরিয়ার স্থাপনার পাশাপাশি ইরানের কার্যক্রম লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয় বলে আইডিএফের দাবি। বলা দরকার, সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সেখানে সেনা উপদেষ্টা পাঠিয়েছে ইরান। পশ্চিমাদের অভিযোগ, আসাদ বাহিনীকে ইরান বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও যোদ্ধাও জোগাচ্ছে।
সিরিয়ায় আইডিএফের হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল শান্তি চায়, তবে আমরা আমাদের আত্মরক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। আমাদের ওপর যেকোনো হামলা ঠেকাতে এবং সিরিয়া কিংবা অন্য কোথাও ইরানের সামরিক উপস্থিতির যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে আমাদের এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’ ইসরায়েলের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি আরো বলেন, ‘আজকের (গত শনিবার) আগ্রাসনের জন্য ইরান ও তার সিরীয় দোসরদের দায়ী করছে ইসরায়েল। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং আমাদের নিরাপত্তায় যা প্রয়োজন, সবই আমরা করব।’
ইরান অবশ্য ইসরায়েলে ড্রোন পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, মধ্যপাচ্যজুড়ে ইসরায়েল নিজেদের অপরাধ ঢাকতে অন্য দেশের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। গত শনিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সব হামলার ‘নিষ্ঠুর জবাব’ দেওয়া হবে।