সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সায়ারাত বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার তাৎক্ষণিক তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ‘বিস্মিত নয় কিন্তু হতাশ’ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে সন্দেহে শুক্রবার ভোরে মার্কিন বাহিনীর ভয়াবহ এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৬ জন মারা গেছে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এ হামলার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাশিয়া জানায়, মার্কিনীদের একতরফা কর্মের ফলে এ অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবাদকে’ উৎসাহিত করবে এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে রাশিয়া। খবর: বিবিসি
‘আমি এ ধরণের প্রতিক্রিয়ায় খুব হতাশ হয়েছি’ বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ‘সিরিয়ায় আসাদ সরকার নিজের দেশের নাগরিকদেরই হত্যা করছে, তবুও রাশিয়া তাকেই বারবার সমর্থন জানিয়ে আসছে। এতে আমি চরমমাত্রায় হতাশ হলেও মোটেও বিস্মিত নই’ বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সিরিয়ার শত্রুবিমান আক্রমণ প্রতিরোধী সুরক্ষা জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে মস্কো। মার্কিনীদের এ হামলাকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির উপর ভয়াবহ আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়াতে নিরাপদে বিমান চলাচল ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক স্থগিত করেছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইদলিবে রাসায়নিক গ্যাস হামলায় ৩৩ শিশুসহ অন্তত ৮৯ জন নিহত হওয়ায় এর দায় ওই অঞ্চলের বিদ্রোহীদের উপর চাপায় রাশিয়া। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, সিরিয়ান বিমান হামলার স্থানে রাসায়নিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে বিদ্রোহীদের অস্ত্র থেকে। কিন্তু মার্কিনীরা এর জন্য আসাদ সরকারকে দোষী করলেও, দামেস্কের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।