এ ইউনিটে উপজেলার আট হাজার শিশুকে চিকিত্সা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ত্রিপুরাপল্লীতে হামে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর পর সরকার এ এলাকার শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বিশেষ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর আওতায় সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার সোনাইছড়িতে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠীর ৯ শিশুর মৃতু্যর পর সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসে। এ এলাকার শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গঠন করা হলো শিশুদের জন্য বিশেষ ইউনিট (এসএএম)।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. নুরুল করিম রাশেদ জানান, ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবগতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে একটি অ্যাডভোকেসি সভাও হয়েছে।
নুরুল করিম রাশেদ আরো বলেন, বৃহস্কতিবার ওই অ্যাডভোকেসি সভার মধ্য দিয়েই মূলত এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার থেকে আমরা রোগীর অপেক্ষায় আছি। আমাদের কর্মীরা রোগী শনাক্ত করে আনলেই তাদের চিকিত্সা শুরু হয়ে যাবে। একই সময়ে শিশুর অভিভাবককেও দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তা। ‘
এ ছাড়া বিশেষ এ ইউনিটে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হবে এবং ৫০০ গর্ভবতী ও দুগ্ধানকারী মাকে পরামর্শ দেবেন চিকিত্সকরা। এ কার্যক্রম সফল করতে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩০ জন কর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।