সুদানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সামরিক বাহিনী ও বিরোধী জোট একে অপরের সঙ্গে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে রাজি হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন। রাজধানী খার্তুমে দুই দিনের আলোচনা শেষে গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ হাসান লেবাত দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চুক্তির খবর শুনে সুদানের শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। তিন দশক ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে উৎখাত করার পর অন্তর্র্বর্তীকালীন শাসনভার নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
বশিরবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সুদানিজ প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা’ সেনা কাউন্সিলকে বেসামরিকদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বানও জানায়। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালালে হতাহতেরও ঘটনা ঘটে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যস্থতায় খার্তুমে দুই পক্ষ ফের আলোচনায় বসে। সেখানেই নতুন নির্বাচনের জন্য তিন বছর কিংবা আরেকটু বেশি সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ সময়ে সামরিক বাহিনী ও সম্মিলিত বিরোধী জোট পালা করে সুদানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাকাঠামো সার্বভৌম পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সমঝোতার কথা স্বীকার করেছেন সুদানের সেনা কাউন্সিলের উপপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।