সৌদি আরব ও তার তিন মিত্র দেশের স্বার্থে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কাতারকে যে ১৩ দফা শর্ত দিয়েছিল সে ব্যাপারে জবাব দিয়েছে দোহা। জবাবে ঠিক কি আছে কাতার তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপি ’র বরাতে জানা যায়, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে সানি সোমবার রাতে এক সংক্ষিপ্ত সফরে কুয়েত গিয়ে সৌদি শর্তের ব্যাপারে দোহার জবাব দিয়ে এসেছেন। কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতা করছে কুয়েত।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
পরবর্তীতে ২২ জুন ওই চার দেশ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত দিয়ে জানায়, এসব শর্ত মেনে নিলেই কেবল দোহার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পাশাপাশি দেশটির ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। ওই শর্ত মেনে নেয়ার জন্য যে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছিল তা রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়ে যাওয়ার আগে সে সময় আরো দুই দিনের জন্য বাড়ায় রিয়াদ। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৃশ্যত বর্ধিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগেই এ ব্যাপারে তার দেশের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন।
কাতারকে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কাতারকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার, আল-জাযিরা টিভি নেটওয়ার্ক বন্ধ, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দিতে হবে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদের দেয়া প্রথম সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বলেছিলেন, তার দেশ এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করছে। এ ছাড়া, সোমবারই কাতারের নিয়োগ করা একজন ব্রিটিশ আইনজীবী এসব দাবিকে ‘আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।