কারও সৌভাগ্য প্রাপ্তির প্রার্থনা যে শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তা এই ঘটনার আগে হয়তো বুঝিয়ে, উদাহরণ দিয়ে বলা শক্ত হতো। তবে আর বোধহয় তা হবে না। সৌজন্যে একজন ‘সংস্কারী’ যাত্রী। যাঁর জন্য প্রায় ১৫০ বিমানযাত্রীকে বেশ কয়েক ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হল।
বিষয়টা ঠিক কী?
বেজিং যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার স্বামী ও মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে সাংহাইয়ের পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন বছর আশির এক বৃদ্ধা।
বিমানে ওঠার ঠিক আগে হঠাতই ওই বৃদ্ধা বিমানের ইঞ্জিন লক্ষ্য করে কয়েন ছুড়তে শুরু করেন। একটি নয়, দু’টি নয়, পর পর আটটি কয়েন ছোড়ার পর ন’নম্বর কয়েনটি ইঞ্জিনের মধ্যে ঢোকাতে সক্ষম হন বৃদ্ধা।
প্রথমে বিষয়টি কারও নজরে না পড়লেও তত ক্ষণে তা দেখে ফেলেছেন বিমানেরই আর এক যাত্রী। একটুও দেরি না করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনি গোটা ব্যপারটা জানান। এ দিকে দক্ষিণ চিন এয়ারলাইন্সের ওই বিমান সি জেড ৩৮০-এর তখন ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছে।
খবর পেয়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ডাকা হয় ইঞ্জিনিয়ারদেরও। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে বিমানের সব যাত্রীকে নামিয়ে ইঞ্জিন খুলে সেটি পরীক্ষা করেন ইঞ্জিনিয়ররা। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় ইঞ্জিন থেকে ন’টি কয়েন উদ্ধার করেন তাঁরা।
এই ঘটনার জেরে প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রীদের নিয়ে বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় সি জেড ৩৮০। তবে ওই বিমানে যাওয়া হয়নি চার যাত্রীর। ঘটনার পর ওই বৃদ্ধাকে আটক করে সাংহাই পুলিশ। ফলে থেকে যেতে হয় তাঁর স্বামী ও মেয়ে-জামাইকেও। বৃদ্ধার অবশ্য দাবি, শুধুমাত্র সৌভাগ্য লাভের আশায় এই বিচিত্র কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।