আরও ২০টি চাঁদের হদিশ মিলল শনি গ্রহে। ফলে শনির চাঁদের সংখ্যা বেড়ে হল ৮২। ওই চাঁদগুলি হাউইয়ের মওনা কিয়ায় বসানো ‘সুবারু’ টেলিস্কোপের চোখেই প্রথম ধরা দিল। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নে’র মিরর প্ল্যানেট সেন্টার ওই আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন ২০টি চাঁদের প্রত্যেকটির ব্যাস ৩ মাইল। তাদের মধ্যে ১৭টি চাঁদ পিছনের ১৭টি কক্ষপথ থেকে প্রদক্ষিণ করছে শনি গ্রহকে। আরও সহজ ভাবে বলতে হলে, নিজের কক্ষপথে শনি ঘুরছে যে দিকে, ঠিক তার উল্টো দিকের কক্ষপথগুলি থেকে বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তার সদ্য হদিশ মেলা ১৭টি চাঁদ। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘রেট্রোগ্রেড ডিরেকশন’। বাকি ৩টি চাঁদ বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে সেই দিকেই, যে দিক দিয়ে নিজের কক্ষপথে ঘোরে শনি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘প্রোগ্রেড ডিরেকশন’।
‘কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স’-এর বিজ্ঞানী স্কট এস শেপার্ড বলেছেন, ‘‘শনির নতুন যে ২০টি চাঁদের হদিশ মিলেছে, তাদের বেশির ভাগেরই বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩ বছর। তবে সেই সবক’টি চাঁদই রয়েছে নিজের কক্ষপথে শনির ঘোরার দিকের ঠিক উল্টো দিকের কক্ষপথগুলিতে। রেট্রোগ্রেড ডিরেকশনে। যদিও প্রোগ্রেড ডিরেকশনে শনিকে প্রদক্ষিণ করছে যে তিনটি চাঁদ, তাদের মধ্যে ২টি বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় কিছুটা কম। ২ বছর। সেই দু’টি চাঁদ অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কাছে রয়েছে শনির।’’ বছরদেড়েক আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানী শেপার্ডই বৃহস্পতির আরও ১২টি চাঁদ আবিষ্কার করেছিলেন।
শনির ৮২টি চাঁদের মধ্যে ৫৩টির নামকরণ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি ২৯টির নামকরণের উদ্যোগ সবে শুরু হয়েছে।