এছাড়াও একটি গবেষণায় দেখা গেছে আর্দ্র উষ্ণতায় শরীরের সূক্ষ সূক্ষ রক্তবাহগুলো প্রসারিত হয়। ফলে সহজেই তাতে রক্ত সংবাহিত হতে পারে এবং দেহের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারে। আর এই অতিরিক্ত অক্সিজেনেই সুস্থ থাকে শরীর ও সতেজ থাকে হার্ট।
অতিরিক্ত পরিশ্রমে পেশির ব্যথা যখন কষ্ট দেয় তখনো বাষ্প-গোসল আরাম দেয়। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, আর্দ্র বাষ্পের প্রভাবে এন্ডরফিন হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায়। যা শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
কারো যদি সর্দি বা সাইনাসের সমস্যা থাকে তবে সে বিশেষ আরাম পাবে এই পদ্ধতিতে। এছাড়া ব্যায়াম করার পর স্টিম রুমে ঢুকলে আর্দ্র উষ্ণতায় প্রভাবে শরীরে রক্ত চলাচলও বাড়ে, যার প্রভাবে দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট পুড়ে ওজন হ্রাস পায়।
তবে শুষ্ক বাষ্প এড়াতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ড্রাই স্টিম বাথ বা সওনা শরীরের পানির পরিমান কমিয়ে দেয়। তাই ১৫-২০মিনিটের বেশি শুষ্ক-বাষ্প ঘরে থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
তাই চিকিৎকরা বলেন, স্টিম বাথই শরীরের জন্য উপকারি। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত সুফল পেতে স্টিম রুমের উষ্ণতা যেমন ১১০ থেকে ১১৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখা জরুরি। এছাড়া ঘরের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশই যেন বজায় থাকে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।