স্পেনের বিপক্ষে মঙ্গলবারের আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলার জন্য নিজেকে ফিট প্রমান করেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। জাতীয় দলের কোচ জর্জ সাম্পাওলি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। থাইয়ের পেশীর সমস্যার কারনে শুক্রবার ইতালির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে দলে ছিলেন না বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড। যদিও সোমবার মাদ্রিদের অনুশীলনে তিনি দলে ফিরেছেন। এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্পাওলি জানিয়েছেন মেসি স্বাভাবিক ভাবেই অনুশীলন করেছেন। সে কারনেই বলা যায় সে সুস্থ রয়েছে।
যদিও সাম্পাওলি ইঙ্গিত দিয়েছেন স্পেনের বিপক্ষে অধিনায়কের ফিটনেস নিয়ে তিনি কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাননা। আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, এখানে যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে তবে ম্যাচের ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে না খেলানোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে। কিন্তু এ পর্যন্ত তার ফিটনেস নিয়ে কোন সমস্যা নেই। রোববার সে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছে। আশা করছি কোন সমস্যা হবে না।
সাবেক চিলি কোচ সাম্পাওলি গত সপ্তাহে বর্তমান আর্জেন্টাইন দল নিয়ে বলেছিলেন এই দলটি আমার থেকেও বেশী মেসির। তিনি বলেন, ‘ফুটবল আসলে দিনের শেষে খেলোয়াড়দের নিয়েই আবতির্ত হয়। আমি যা বলতে চাচ্ছি মেসির মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে দলের ওপর তার প্রভাবটা অনেক বেশী। কোচিং স্টাফদের থেকেও দলের উপর তার প্রভাবটা বেশ কাজে আসে। মেসিকে কিছু শিখানো অসম্ভব। আমরা যেখানে আছি সেখানে লিওকে গনণা করার কোন অবকাশ নেই। সে এমন একজন খেলোয়াড় যাকে ঘিড়ে দলের আশা সৃষ্টি হয় এবং সেই অবস্থান থেকেই সে দলের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে।’
মেসি দলে ফিরলেও ইতালির বিপক্ষে থাইয়ের ইনজুরিতে পড়া এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া স্পেনের বিপক্ষে থাকছেননা। এদিকে হাঁটুর ইনজুরির কারনে দলের বাইরে রয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো।
স্প্যানিশ বস জুলেন লোপেতেগুই বলেছেন মেসির দলে ফেরা তার দলের জন্য খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। তিনি বলেন, আমরা যখন কোন ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হই তখন আমরা মোটেই চিন্তা করিনা আমাদের সামনে কে আছে। মাত্রই আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানীর মোকাবেলা করেছি, এখন আমাদের সামনে রানার্স-আপ আর্জেন্টিনা যাদের দলে বেশ কয়েকজন অসাধারণ খেলোয়াড় রয়েছে। সাম্পাওলির অধীনে যারা দারুন উন্নতি করেছে। অবশ্যই তাদের দলে ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রয়েছে। এটা আমাদের জন্য দারুন একটি সুযোগ। বিশ্বমানের দলের বিপক্ষে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দেয়া।সর্বশেষ বুয়েন্স আয়ার্সে ২০১০ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার ৪-১ গোলের জয়ে মেসিও গোল করেছিলেন।