ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেট পড়েছে ১৪টি। নিউজিল্যান্ডকে ১৭৮ রানেই অলআউট করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে স্বস্তিতে নেই লঙ্কানরাও। ৫১ রানের মধ্যে ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে। দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে।
কিউইদের অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে টিম সাউদির তোপে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দলের খাতায় ১০ রান উঠতেই দিমুথ করুনারত্নেকে (৭) সাজঘরের পথ দেখান এই পেসার। ৬ রান করে দিনেশ চান্দিমালও আউট। ১ রানের ব্যবধানে সাউদির তৃতীয় শিকার হন দানুষ্কা গুনাথিলাকা (৮)।
২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আর কুশল মেন্ডিস। তাদের ৩০ রানের জুটিটি ভাঙেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ১৫ রানে মেন্ডিসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি।
তবে এরপর দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি ম্যাথিউজ। বেশ দেখেশুনে খেলছেন। পঞ্চম উইকেটে রোশন সিলভাকে নিয়ে তিনি অবিচ্ছিন্ন আছেন ৩৭ রানে। ম্যাথিউজ ২৭ আর সিলভা ১৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে টস জিতে আগে বোলিং নিতে ভুল করেনি শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে তারা। দুই পেসার সুরাঙ্গা লাকমল আর লাহিরু কুমারা রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বল হাতে।
২২ রানে ৩টি, ৬৪ রানে ৬টি, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউইরা। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, একশর মধ্যেই গুটিয়ে যাবে স্বাগতিকদের ইনিংস। সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের বড় এক জুটিতে দলকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচান টিম সাউদি আর বিজে ওয়াটলিং।
৬৫ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৬৮ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে সাউদি ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি। দুই ওভারের মধ্যে ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিংও। ৯০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৪৬ রান। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ওয়াটলিং ফেরার ওভারেই।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫৪ রানে ৫টি উইকেট নেন সুরাঙ্গা লাকমল। ৪৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট শিকার লাহিরু কুমারার।