আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, সাংবাদিক- উল্টো পথে গাড়ি চালানোর জন্য সবার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমার কথা শোনেন নি, এখন দুদক ধরছে। রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’এর সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সাবেক সচিব এম.এন. সিদ্দিক প্রমুখ। ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ এই সেøাগানকে সামনে ২২ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৭’ পালিত হলো।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সুশৃঙ্খল সড়কের জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক নিরাপদের কাজ একা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারবেন না, একা ইলিয়াস কাঞ্চন পারবেন না, একা ওবায়দুল কাদেরও পারবেন না। এজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। সাধারণ পথচারী থেকে উচ্চ পর্যায়ের সবার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কিছু অসাধারণ নেতা আছেন, অসাধারণ মানুষ আছেন যারা সড়কে নিয়ম মানতে চান না। জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিতে শত শত মানুষ হেলমেট ছাড়া গাড়ির মহড়া করে। এতে যানজট হয়। সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। নিজের নিয়ম মেনে না চলায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পথচারী ও মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা বাড়ছে। কিছু উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমার দাবি, নিরাপদ সড়কের জন্য জনপ্রতিনিধিরা যেন তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রচারণা করেন। শুধু এক দিনের জন্য এ দিবস নয়। আমাদের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে। আসুন, আমাদের যার যার দায়িত্ব পালন করি।
সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে হতাহত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। ফুটওভারব্রিজ যেগুলো আছে, তা ব্যবহৃত হয় না। তাই পথচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হতাহত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা যাবে।