দশ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী টাইফুন হাতোর আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র হংকংয়ের জীবনযাত্রা।
বুধবার এই ঘূর্ণিঝড়ে হংকং শহর ও ম্যাকাওয়ের মাঝে বয়ে চলা পার্ল নদীর মোহনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছে্। সকালে হাতো আঘাত হানার আগেই বাণিজ্য নগরী হংকংয়ের শুরু হয় প্রচণ্ড বাতাস ও ভারি বৃষ্টি। বাতাসের তোড়ে অনেক গাছ সমূলে উপড়ে যায়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আগের রাতেই সাড়ে চারশর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ছুটি ঘোষণা করা হয় স্থানীয় সব স্কুলে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক কার্যক্রমও অচল হয়ে যায়।রয়টার্স জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। ২০১২ সালের পর হংকংয়ে এটিই সর্বোচ্চ মাত্রার প্রথম টাইফুন।
হংকং নগরীর পশ্চিমের ল্যান্টাও দ্বীপের বাসিন্দা গ্যারেট কুইগলেই বলেন, ‘আমি এমন ঝড় আগে কখনও দেখিনি। গাড়িগুলো অর্ধেক ডুবে আছে, পানি জমে রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রচুর গাছ পড়ে রয়েছে, এটা তাণ্ডব।’টাইফুন হাতো আঘাত হানার আগে বাতাসের বেগ বাড়তে থাকার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হলে রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে যায়। মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় হংকংয়ের প্রাণকেন্দ্রের অসংখ্য বহুতল বাণিজ্যিক ভবন জনশূন্য হয়ে পড়ে।
হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া হার্বারে প্রবল বেগে পানি আছড়ে পড়তে দেখা গেছে জানিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জলোচ্ছ্বাসে অনেক নিচু এলাকা প্লাবিতও হয়েছে।