ডিএমপি নিউজঃ খুন মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন চট্টগ্রামের এমদাদ। বাবা গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি। জরুরী ভিত্তিতে রক্ত দিতে হবে। বাবার রক্তের গ্রুপের সাথে তার রক্তের মিল। দীর্ঘ চার মাস ধরে আত্মগোপন থেকে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন। একদিকে বাবার প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা অন্য দিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়া চেষ্টা। বাবার প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে পারলেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি এমদাদ। ইতিমধ্যে হাসপাতালে এমদাদের অবস্থানের তথ্য জেনে যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আকবরশাহ থানার পুলিশ।
খুন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামী এমদাদকে ধরতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয় থানা পুলিশের একটি দল। গ্রেফতার করে এমদাদকে। এসময় এমদাদ খুনের সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করে পুলিশকে জানান তিনি চার মাস পলাতক ছিলেন। বাবা অসুস্থ ও রক্ত লাগবে শুনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোপনে তার বাবাকে এক ব্যাগ ও(পজেটিভ) রক্ত দিতে এসেছিলেন। এদিকে খুন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা আইনত বাধ্যবাধকতা রয়েছে ঠিক অপর দিকে অসুস্থ বাবার প্রতি সন্তানের দায়বদ্ধতা কিছু সময়ের জন্য পুলিশকে ভাবিয়ে তোলে। তবে এক্ষেত্রে আইনকে প্রাধান্য দিয়ে অসুস্থ বাবার রক্ত দিলেন অভিযান দলে থাকা এসআই বদিউল আলম। এর ফলে একদিকে যেমন আইন তার গতি পেলো। অন্যদিকে মনুষ্যত্বকে টিকিয়ে রাখলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ডিএমপি নিউজকে জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম রেললাইন সংলগ্ন রশিদের কলোনিতে গত ২৫/১০/১৯ তারিখ রাত অনুমান ০১:৩০ টায় গায়ে হলুদে গান বাজনাকে কেন্দ্র করে নির্মমভাবে ছুরির আঘাতে জসিম উদ্দিন(১৮) নামে একজন খুন হন। এ সংক্রান্তে আকবরশাহ্ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এসআই(নিঃ) বদিউল আলম মামলার তদন্তভার প্রাপ্ত হয়ে হত্যাকান্ডের ১৬ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৬ জন আসামীর মধ্যে ৫ জন আসামী (১) সাকিব, (২) জীবন, (৩) নুরুদ্দিন, (৪) জাহিদ, (৫) শহীদ’কে গ্রেফতার করেন। পরবর্তী সময়ে ০৫ জন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ পূর্বক ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করান। ৩নং এজাহারনামীয় আসামী এমদাদ তাৎক্ষণিকভাবে আত্মগোপন করলে দীর্ঘ চার মাস ধরে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিলেন।