কেন্টাকির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনরি লিঞ্চ নামের সেই ছাত্র জানতেন না যে সেই শিক্ষক অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। পরবর্তীতে সেই ছাত্র এবং তার একজন সহযোগীকে বিস্মিত করে দিয়ে শিক্ষক চলে আসেন এবং দুজনই ধরা পড়েন। দুজনকেই আগামী মাসে বিচারকের মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র, জে ব্লান্টন বলেন, ২১ বছর বয়সী জৈব প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী, মি. লিঞ্চ ক্যাম্পাস ভবনের ছাদের কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত পথ দিয়ে প্রবেশ করে এবং হামাগুড়ি দিয়ে তার পরিসংখ্যান শিক্ষকের কক্ষের ওপরে পৌঁছায়। সেখান থেকেই সে কক্ষের ভেতরে ঝাঁপ দেয়।
রাত আনুমানিক ২:০০ টার সময় এই ঘটনা ঘটে বলে জানান মি. ব্লান্টন। কিন্তু ছাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পথে সে কীভাবে প্রবেশ করল, তা স্পষ্ট নয়।
কক্ষে প্রবেশের পর সহযোগী ট্রয় কিপাথের জন্য সে দরজা খুলে দেয়, এরপর দরজা বন্ধ করে দুজনেই পরীক্ষার খাতা খুঁজতে থাকে।
কিন্তু তারা জানত না যে তাদের শিক্ষক জন কেইন বাইরে খাবার খেতে গেছেন। এরই মধ্যে তিনি ফিরে আসেন।
দরজা খোলার চেষ্টা করেও না পেরে তিনি বুঝতে পারেন যে ভেতরে কেউ আছে এবং চিৎকার করে বলেন যে, তিনি পুলিশ ডাকবেন। এর পরই ভেতর থেকে দুজন দরজা খুলে দেয় এবং দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মি. লিঞ্চ স্বীকার করেন যে তিনি দিনের বেলায়ও পরীক্ষার খাতা চুরি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।
এর আগেও তিনি একইভাবে চুরি করেছিলেন। আগের সেমিস্টারেও তিনি প্রশ্নপত্র চুরি করেছেন, কিন্তু অন্য কোন সহপাঠীকে বিষয়টি জানাননি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা দপ্তরকে জানানো হয়।
“কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা বা চুরি করার মত এধরণের অপরাধ খুবই গুরুতর” বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র।