ফিলিস্তানে হামাস একটি অত্যন্ত সক্রিয় সংগঠন। পশ্চিমাদেশগুলো এটাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। গাজায় ফিলিস্তানিদের পূর্ন স্বাধীনতা ও ইসরাইলের নতুন বসতী নির্মানের প্রতিবাদে বহুকাল থেকে হামাস ও ইসরাইল সাংঘর্ষিক নীতি অবল্বন করছে। কিন্তু এবার ইসরাইল নিয়ে নীতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস।
এর আগে ইসরাইল নিয়ে তাদের যে কঠোর মনোভাব ছিল তা থেকে কিছুটা সুর নরম করার নতুন নীতি নিচ্ছে দলটি। এ নীতি অনুযায়ী ইসরায়েলকে আর ধ্বংসের আহ্বান জানাবে না তারা। একইসঙ্গে মিশরের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গেও হামাস আর সখ্যতা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
পশ্চিমা বিশ্ব, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এবং মিশরের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে হামাস এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পশ্চিমা অনেক দেশই সহিংসতা পরিহার করতে ব্যর্থতার জন্য হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে, তারা ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির বিষয়টিকেও স্বীকার করে নিয়েছে।
উপসাগরীয় আরব কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, গতকাল সোমবার হামাস নতুন যে নথি প্রকাশ করছে তাতে এখনও ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকার করা হয়নি এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইকে সমর্থন করা হয়েছে। তাছাড়া, নতুন নীতিমালায় হামাসের ১৯৮৮ সালের সনদে কোনও পরিবর্তন আদৌ ঘটানো হয়েছে কিনা সেটিও স্পষ্ট নয়। ওই সনদে ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ইসরায়েল হামাসের নতুন নীতি নেওয়ার পদক্ষেপকে বিশ্বকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ডেভিড কেইয়েস বলেছেন, হামাস বিশ্বকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এ চেষ্টা সফল হবে না।