বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ইনিংস টেকেনি দুই ঘণ্টাও। ২১.৪ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১০৫ রানেই।
পাকিস্তানের ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন মাত্র চারজন। ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুঁড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার ওশানে টমাস।
শুক্রবার ট্রেন্ট ব্রিজের মেঘলা আবহাওয়ায় টস জিতে বোলিং নিতে একটুও ভাবতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে। পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ জানান, টস জিতলে তিনিও বোলিং নিতেন।
তৃতীয় ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সফলতা এনে দেন শেলডন কটরেল। লেগ স্টাম্পের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল-হক। পঞ্চম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে আনেন আরেক ওপেনার ফখর জামান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। রাসেল নিজের এক ওভার পর শর্ট বলে ফেরান হ্যারিস সোহেলকে। ওশানে টমাসের অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন বাবর আজম।
হোল্ডার একই ওভারে ফেরান সরফরাজ আর ইমাদ ওয়াসিমকে। সরফরাজের উইকেটটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। টিকতে পারেননি শাদাব খান আর হাসান আলীও। মোহাম্মদ হাফিজ নেমেছিলেন ছয় নম্বরে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফিজ শিকার হন টমাসের।
তখন ৮৩ রানেই নেই ৯ উইকেট। একশর আগেই অলআউট হওয়ার লজ্জার সামনে পাকিস্তান। দুই ছক্ক ও এক চারে সেই লজ্জা এড়ান শেষ মুহূর্তে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১ বলে ১৮ রান করেন ওয়াহাব। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে শেষ উইকেটে ওয়াহাবের ২২ রানের জুটিই ইনিংস সর্বোচ্চ!
২৭ রানে ৪ উইকেট নেন টমাস। ৪২ রানে ৩ উইকেট হোল্ডারের। রাসেল ৪ রানে ২টি এবং কটরেল ১৮ রানে নেন একটি উইকেট।