৪৬ পাউন্ড দিয়ে ‘জেট টু’ বিমানসংস্থার টিকিট কেটেছিলেন স্কটল্যান্ডের লেখিকা ক্যারন গ্রিভি। গ্ল্যাসগো বিমানবন্দর থেকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ক্রিটে পৌঁছনোর কথা তাঁর।
একটি গোয়েন্দা রহস্যের পরবর্তী প্লট সেখানে বসেই লেখার কথা ৫৭ বছরের ক্যারনের। বিমান ধরার জন্য সেদিন সময়মতই পৌঁছে ছিলেন তিনি।
কিন্তু, শুরু থেকেই এয়ারপোর্টে তাঁর প্রতি ক্রু সদস্যদের ব্যবহার একটু অদ্ভূতই লেগেছিল ক্যারনের। তবে, সেই ব্যবহার আশ্চর্যে পরিণত হয়েছিল বিমানে ওঠার পর। ক্যারণ টুইট করে লিখেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁর এই প্রথম।
কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেদিন তাঁর?
গ্ল্যাসগো থেকে গ্রিসের ক্রিট পৌঁছতে সময় লাগে সাড়ে চার ঘণ্টার একটু বেশি। তাই দিনের কাজ সেরে বিকেলের দিকের ‘জেট টু’ বিমানের টিকিট কেটেছিলেন গোয়েন্দা রহস্যের লেখিকা ক্যারন।
কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর থেকে বিশাল বিমান ধরার জন্য লাউঞ্জে সেই অর্থে কাউকেই দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই কিছুটা কৌতুহল নিয়েই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের প্রশ্ন করেন ক্যারন, ”বিমানের বাকি কাউকে তো দেখছি না?” ক্যারন লিখেছেন, ”তাঁরা সেদিন অদ্ভূত আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। কিন্তু কোনও উত্তর দেননি।”
যাই হোক, কৌতুহল নিয়েই রানওয়ে থেকে বিমানের সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন ক্যারন। তখনও, তিনি জানতেন না বিমানের ভিতর আসল আশ্চর্য অপেক্ষা করে রয়েছে তাঁর জন্য।
বিমানে পা রাখা মাত্রই তাঁকে বিমানকর্মীরা বিশেষ অর্ভ্যথনা দেন তাঁকে। সেই সঙ্গে তাঁকে জানানো হয়, ১৮৯ জন যাত্রীবহনে সক্ষম বিমানে তিনি একাই যাত্রা করবেন।
উড়ানটিতে যাত্রা করার জন্য আরও দু’জন যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন বটে, তবে শেষ মুহূর্তে টিকিট বাতিল করেছেন তাঁরা।
ফলে একমাত্র যাত্রী হিসাবে কার্যত ভিআইপি ব্যবস্থায় সেদিন যাত্রা করেছিলেন ক্যারন।
গোটা যাত্রাকালে বিমান সেবিকা থেকে ক্যাপ্টেন, প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গে গল্পে মজে ওঠেন। বিমান থেকে নেমে গন্তব্যে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই এই অদ্ভূত অভিজ্ঞতার কথা টুইট করেন তিনি।