আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯২ গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে সরকার। সকল গৃহহীন মানুষকে বাসস্থান সুবিধা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার সারাদেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ১৯৯৬–২০০১ সালের সরকারের আমলে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষদের বাসস্থান সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে আশ্রায়ন প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
প্রকল্প সূত্র অনুযায়ী, আশ্রায়ন–২ প্রকল্প ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত ৫০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ৪৩ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করেছে। বাকিদেরকেও শিগগির গৃহায়ন সুবিধার আওতায় আনা হবে।
চলমান এই আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার তার নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আশ্রায়ন–২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে আশ্রায়ন প্রকল্প ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সকল গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন ও তাদেরকে উপার্জনমূলক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলছে। ‘আশ্রায়ন প্রকল্প টার্গেটকৃত প্রত্যেক পরিবার থেকে অন্ততঃ দু’জন সদস্যকে ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে উপার্জনমূলক শক্তিতে পরিণত করছে’ ।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, আশ্রায়ন–২ প্রকল্প ১ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে তাদের জমিতে ঘর তৈরি করে দেবে। টার্গেটকৃত পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উপার্জনের সুবিধার পথ তৈরি করে দিয়ে তাদের মানবাধিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে এই প্রকল্প।
তিনি বলেন, প্রত্যেক পরিবারের একজন প্রশিক্ষিত সদস্যকে আয়মূলক কর্মকান্ড শুরু করার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার ১৯৯৬–২০০১ মেয়াদে ৪৭ হাজার ২১০টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করে। পরে ২০১০ সালে আশ্রায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) ৫৮ হাজার ৭০৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করে।
এছাড়াও সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অতি দরিদ্র জনগণকে প্রশিক্ষণ, সুদমুক্ত ঋণ ও বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করে।
সশস্ত্র বাহিনী ডিভিশন, এলজিআরডি, সমবায় অধিদফতর, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, গণপূর্ত অধিদফতর, আরইবি, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদফতর, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতর, বন বিভাগ, পিডিবি ও ইউনিয়ন পরিষদ এই ১২টি সংস্থা আশ্রায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে।