২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কঠিন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ১১ রান তুলতেই আউট হয়ে যান বাংলাদেশের সেরা তিন ব্যাটসম্যান তামিম-সাব্বির-মুশফিক। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে কুলাসেকারাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে ৭০ রানের বড় ব্যবধানেই হারতে হলো টাইগারদের। তবে সিরিজ হারতে হয়নি। ১-১ ব্যবধানে সমতার স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়লেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা।
১১ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার এবং সাকিব আল হাসান। লঙ্কান বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে এ দু’জন উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি চেষ্টা করছেন রানের চাকাও সচল রাখার। ৭৭ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।
তবে ১৬তম ওভারে বরাবরের মতই ভুলটা করে বসলেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৩৮ রান করেন সৌম্য। সৌম্যর বিদায়ের পর ৫৪ রানের ইনিংসি খেলে আউট হন সাকিব। সাথে সাথে জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।
এরপর নবম উইকেটে তাসকিন আহেমদকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম উইকেটে ৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে হাফসেঞ্চুরি করার পরই আউট হয়ে যান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ (তামিম ৪, সৌম্য ৩৮, সাব্বির ০, মুশফিক ০, সাকিব ৫৪, মোসাদ্দেক ৯, মাহমুদউল্লাহ ৭, মিরাজ ৫১, মাশরাফি ১৬, তাসকিন ১৪, মোস্তাফিজ ১*; কুলাসেকারা ৪/৩৭, লাকমল ২/৩৮, থিসারা ০/১৪, দিলরুয়ান ২/৪৭, গুনারাত্নে ০/১৬, প্রসন্ন ২/৩৩, সিরিবর্ধনা ০/২৩)
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮০/৯ (গুনাথিলাকা ৩৪, থারাঙ্গা ৩৫, মেন্ডিস ৫৪, চান্দিমাল ২১, সিরিবর্ধনা ১২, গুনারত্নে ৩৪, থিসারা ৫২, প্রসন্ন ১, দিলরুয়ান ১৫, কুলাসেকারা ১*, লাকমল ২*; মাশরাফি ৩/৬৫, মুস্তাফিজ ২/৫৫, মিরাজ ১/৪৯, তাসকিন ১/৫০, মাহমুদউল্লাহ ০/৫, সাকিব ০/৪১, মোসাদ্দেক ০/১৩)