ডিএমপি নিউজঃ ১৯৮৯ সালে রাজধানীর সিদ্ধেরশ্বরীতে গৃহবধূ সগীরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আনাছ মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডাঃ হাসান আলী চৌধুরী (৭০),সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪) ও মোঃ মারুফ রেজা (৫৯)।
গত ১০ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে আসামী আনাছ মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯) কে রামপুরা, ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক গত ১২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে ডাঃ হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪) কে ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে অপর আসামী মোঃ মারুফ রেজা (৫৯) কে বেইলী রোডের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
১৪ নভেম্বর, ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকালে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যার পরিকল্পনা ও এর কারণ সম্পর্কে অবহিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গৃহবধূ সগীরা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সগীরা মোর্শেদ এর স্বামীর ভাই ডা. হাসান আলী চোধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা। পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ২৫ হাজার টাকায় কিলার ভাড়া করে হত্যাকান্ডটি চালানো হয়। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে ছিনতাইয়ের সময় সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের ভাসুর ডা. হাসান ও তার স্ত্রী শাহীন চৌধুরী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকাল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মটরবাইকে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সগিরা মোর্শেদ সালাম মারা যান। ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদ সালামের স্বামী সালাম চৌধুরী।
উল্লেখ্য গত ১১ জুলাই, ২০১৯ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।